আষাঢ়ের এক রাতে ৭ম শ্রেনী বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় ৪র্থ পরিচ্ছেদ 2024
“আষাঢ়ের এক রাতে” ৭ম শ্রেনী বাংলা ৬ষ্ঠ অধ্যায় ৪র্থ পরিচ্ছেদ এর গল্পটি ছোটদের জন্য একটি মনোমুগ্ধকর এবং শিক্ষণীয় সাহিত্যকর্ম। এটি হালিমা খাতুনের রচিত একটি গল্প, যেখানে একটি ছোট্ট ছেলের মাছ ধরার অভিজ্ঞতা এবং তার চারপাশের প্রকৃতির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তুলে ধরা হয়েছে। গল্পে ভাইয়ের সঙ্গে মৌরী বিলে মাছ ধরার ঘটনা বর্ণিত হয়েছে যা পাঠকের মনে দারুণ কৌতূহল এবং আবেগ সৃষ্টি করে।
এই গল্পের মাধ্যমে শিশুদের মনের সরলতা, কৌতূহল এবং প্রকৃতির প্রতি আকর্ষণের এক অপূর্ব উপস্থাপন দেখা যায়। এটি শুধু একটি সাহিত্যকর্ম নয়; বরং এটি পাঠকদের জন্য প্রকৃতির সৌন্দর্য ও শিক্ষণীয় মূল্যবোধের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত। পাশাপাশি আমাদের ফেসবুক পেজে নিয়মিত বিভিন্ন তথ্য পাবেন।
এককথায় উত্তর
১। আবু তার দাদার সঙ্গে কোন বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিল?
উত্তর: মৌরী বিলে।
২। মৌরী বিলে কী কী মাছ পাওয়া যায়?
উত্তর: বোয়াল, পাঙ্গাস, ট্যাংরা, পুঁটি, পারশে, বেলে ইত্যাদি।
৩। আবু কোথায় ঘুমিয়ে পড়েছিল?
উত্তর: নৌকার খোলের মধ্যে।
৪। মাছ ধরার নেশা খুব কার?
উত্তর: আবুর বড় ভাই সাজেদের।
৫। সাজেদের দুই বন্ধুর নাম লেখো।
উত্তর: বিপুল ও বায়েজিদ।
৬। নৌকা বাইবে কে?
উত্তর: কিষান তিনু।
৭। কী দেখলে মাছেরা কেমন যেন রাতকানা হয়ে যায়?
উত্তর: হারিকেনের আলো।
৮। ছাতা মাথায় দিল কয়জন?
উত্তর: তিনজন।
৯। মাথাল মাথায় দিল কে?
উত্তর: তিনু।
১০। নৌকার হাল ধরে বসে রইল কে?
উত্তর: তিনু।
১১। কেরোসিন তেলের বোতল কোথায় রাখা ছিল?
উত্তর: নৌকার খোলের মধ্যে।
১২। ‘শয়তান, আজ তোকে পিটিয়ে ঠাণ্ডা করব।’ – কাকে, কে বলেছিল?
উত্তর: আবুকে সাজেদ বলেছিল।
১৩। ‘কেউ খুঁজলে যেন বলে দেয়, সে সাজেদদের সঙ্গে মাছ ধরতে গেছে।’ – এ কথা আবু কাকে বলে এসেছে?
উত্তর: কালুকে।
১৪। আবু মনের সুখে কোন গান ধরল?
উত্তর: “চল চল চল ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল”।
১৫। আবু তার পুঁটলি থেকে কী বের করে দেখাল?
উত্তর: বড়শি আর টোপ।
১৬। ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পটি কে লিখেছেন?
উত্তর: হালিমা খাতুন।
১৭। হালিমা খাতুন কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৯৩৩ সালে।
১৮। হালিমা খাতুন কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ২০১৮ সালে।
১৯। আবু চুপি চুপি কোথায় লুকিয়ে শুয়েছিল?
উত্তর: নৌকার খোলের মধ্যে।
২০। ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে হালিমা খাতুনকে কী বলা হয়?
উত্তর: ভাষাসৈনিক।
২১। হালিমা খাতুনের উল্লেখযোগ্য বইগুলোর নাম লেখো।
উত্তর: “পাখির ছানা,” “পিকনিকে” ইত্যাদি।
২২। হালিমা খাতুন কাদের জন্য অনেক লিখেছেন?
উত্তর: ছোটদের।
২৩। আবুর বয়স কত?
উত্তর: ১০ বছর।
২৪। আবু কার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিল?
উত্তর: দাদার সঙ্গে।
২৫। আবু কী মাছ ধরেছিল?
উত্তর: বোয়াল মাছ।
২৬। বিদ্যুতের ঝলক আকাশের ওপর কিসের দাগ কেটে পালিয়ে যাচ্ছিল?
উত্তর: সোনার দাগ।
২৭। বিদ্যুৎ পালিয়ে যাওয়ার সময় মেঘের আড়াল থেকে কিসের শব্দ শুনিয়ে দিচ্ছিল?
উত্তর: তবলার শব্দ।
২৮। আবুর বড়শি কী দিয়ে বানানো হয়েছিল?
উত্তর: কেরোসিনের টিনের আংটা দিয়ে।
২৯। আমাদের দেশে নেই কোন প্রাণী?
উত্তর: জলহস্তী।
৩০। আবু কী দিয়ে টোপ বানিয়েছিল?
উত্তর: তেলাপোকা।
৩১। আবু বড়শির দড়ি কার সঙ্গে বেঁধে বসে রইল?
উত্তর: নৌকার গলুইয়ের সঙ্গে।
৩২। বিলের পানিতে নেচে চলেছে কী?
উত্তর: মাছ শিকারিদের হারিকেনের আলো।
৩৩। বিদ্যুৎ চমকানো দেখে কী মনে হচ্ছে?
উত্তর: আকাশটাকে কে যেন সোনার কাঠি দিয়ে ভাগ করছে।
৩৪। আবু বড়শির দড়ির সঙ্গে পলিথিনের থলের মধ্যে ভরে ফাতনার মতো কী বেঁধে দিয়েছিল?
উত্তর: কয়েকটা জোনাকি।
৩৫। সাজেদ কাদের সঙ্গে নিয়ে মাছ ধরার প্ল্যান করেছিল?
উত্তর: দুই বন্ধু বিপুল আর বায়েজিদকে।
৩৬। মাছ ধরার জন্য সাজেদ আর তার বন্ধুরা সাথে করে কী নিয়ে গিয়েছিল?
উত্তর: কয়েক রকম জাল, হারিকেন, মাছ আনার বড় খালুই আর অতিরিক্ত দুটো বৈঠা।
৩৭। খালুই কী?
উত্তর: মাছ রাখার ঝুড়ি।
৩৮। আবু মাছ ধরার জন্য কী নিয়ে এসেছিল?
উত্তর: বড়শি আর টোপ।
৩৯। আবু টোপ হিসেবে কী নিয়ে এসেছিল?
উত্তর: তেলাপোকা।
৪০। আবু বড়শির দড়ির সাথে জোনাকি পোকা পলিথিনে ভরে পানিতে ফেলেছিল কেন?
উত্তর: যাতে বড়শিতে মাছ আটকালে সে বুঝতে পারে।
৪১। ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে হালিমা খাতুনকে কী বলা হয়?
উত্তর: ভাষাসৈনিক।
৪২। আবু অবশেষে কী মাছ ধরেছিল?
উত্তর: বোয়াল মাছ।
৪৩। বোয়াল মাছটির আকার কেমন ছিল?
উত্তর: প্রায় আবুর সমান।
৪৪। সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর: আবু সত্যি সত্যি বোয়াল মাছ ধরেছিল বলে।
৪৫। হারিকেনের আলো দেখলে মাছেরা কেমন হয়ে যায়?
উত্তর: রাতকানা।
৪৬। হালিমা খাতুনের উল্লেখযোগ্য বইগুলোর নাম লেখো।
উত্তর: “পাখির ছানা,” “পিকনিকে” ইত্যাদি।
৪৭। গলুই কী?
উত্তর: নৌকার দুই মাথার সরু অংশ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ রচনাটিকে গল্প কেন বলব? বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর:
‘আষাঢ়ের এক রাতে’ রচনাটি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর রচিত। ছোট একটি ঘটনা নিয়ে এর কাহিনি নির্মিত হয়েছে। এই গল্পের চরিত্র সংখ্যাও কম। এই রচনায় কোনো শাখা কাহিনি বা উপকাহিনি নেই। এখানে আবুর জীবনের পুরো ঘটনা উঠে আসেনি, শুধু আষাঢ়ের সেই রাতে ভাইয়ের সঙ্গে মৌরী বিলে মাছ ধরার ঘটনাটির বর্ণনা আছে।
গল্পটি শেষ হয়েছে নাটকীয়ভাবে, যা পাঠকের মনে অতৃপ্তির জন্ম দেয়। আবু বাড়ি ফিরে গেলে কী হয়েছিল তা জানার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। একটি আদর্শ গল্পের সকল বৈশিষ্ট্যই ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পে রয়েছে। তাই এই রচনাটিকে আমরা গল্প বলব।
২। ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের সঙ্গে তোমার জীবনের বা চারপাশের কোনো মিল খুঁজে পাও কি না কিংবা কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাও কি না তা নিচে লেখো।
উত্তর:
গ্রীষ্মের এক রাতে আমি আমার বাবার সঙ্গে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যাই। বাবার মতো আমিও সঙ্গে একটি জাল, টর্চ ও মাছ রাখার ছোট ব্যাগ নিয়ে নিলাম। নদীতে পৌঁছে দেখি, আমাদের মতো অনেকেই মাছ ধরতে এসেছে। সেখানে আমার বয়সী ছেলেরাও ছিল। নদীতে টর্চের আলো ছুড়ে দিতেই দেখি ট্যাংরা আর পুঁটি মাছের ঝাঁক।
আমি জাল ফেলতেই মাছগুলো সব বিচ্ছিন্নভাবে এদিক-সেদিক পালিয়ে গেল। আমার জালে একটা মাছও পড়ল না। বাবা বললেন, এত ছোট জাল দিয়ে তুই মাছ ধরতে পারবি না। এ কথা শুনে আমি একটি শোল মাছের দিকে জালটা নিক্ষেপ করলাম। কিন্তু এবারও ব্যর্থ হলাম। শেষ পর্যন্ত আমি জাল দিয়ে মাছ ধরা বাদ দিয়ে বাবার মাছ ধরা দেখতে লাগলাম।
৩। গল্প কাকে বলে? গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও কথাসাহিত্যিকের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তর:
কাহিনি বলার জন্য লেখক গদ্য ভাষায় যে রচনা তৈরি করেন, তাকে গল্প বলে। গল্প আয়তনে সাধারণত ছোট হয়ে থাকে। তবে বড় আয়তনের গল্পকে বলে উপন্যাস।
- গল্পকার: যিনি গল্প লেখেন।
- ঔপন্যাসিক: যিনি উপন্যাস লেখেন।
- কথাসাহিত্যিক: গল্পকার ও ঔপন্যাসিককে একত্রে কথাসাহিত্যিক বলা হয়। প্রতিটি গল্পের মধ্যে কাহিনি থাকে।
৪। একটি গল্প লেখার সময় তোমাকে কী কী বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করতে হবে?
উত্তর:
একটি গল্প লেখার সময় আমাকে নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো অনুসরণ করতে হবে:
- একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে লিখতে হবে।
- কাহিনি খুব দীর্ঘ করা যাবে না।
- গল্পে চরিত্রসংখ্যা কম রাখলে ভালো হবে।
- কাহিনির ভেতরে কোনো উপকাহিনি আনা যাবে না।
- গল্পে মানানসই সংলাপ রাখতে হবে।