বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রকৌশলী ড. ফজলুর রহমান খানের আত্মপরিচয় লিখি|৮ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান

টেকপৃথিবী

বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রকৌশলী ড. ফজলুর রহমান খানের আত্মপরিচয়

বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রকৌশলী ড. ফজলুর রহমান খানের আত্মপরিচয়
বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রকৌশলী ড. ফজলুর রহমান খানের আত্মপরিচয়

আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রকৌশলী ড. ফজলুর রহমান খানের আত্মপরিচয় লিখি নামক ৮ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই এর অনন্যতায় একাত্মতা অধ্যায় থেকে পৃষ্ঠা ২৩ এর কাজের সমাধান।

বিশ্বের একসময়ের সর্বোচ্চ ভবন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের সিয়ার্স টাওয়ারের নকশা করেছেন বাংলাদেশি প্রকৌশলী ফজলুর রহমান খান। তাঁকে বলা হয় আকাশচুম্বি বহুতল ভবনের প্রকৌশলের জনক। ফজলুর রহমান খানের জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার একটি ছোট শহরে। তিনি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে উচ্চতর পর্যায়ের অধ্যয়নের জন্য আমেরিকায় চলে গিয়েছিলেন। পরে সেখানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ নির্মাণ সংস্থায় কাজ করার সূত্রে আকাশচুম্বি ভবনের নির্মাণকৌশল আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারের বিশেষত্ব হলো, এর মাধ্যমে অতিরিক্ত উঁচু ভবন নির্মাণে বাতাসের গতি ও ভূকম্পনের সম্ভাব্য ক্ষতি প্রতিরোধ।

প্রকৌশলী খানের উদ্ভাবিত টিউবপদ্ধতি পরবর্তীকালে সুউচ্চ ভবন নির্মাণে সবাই ব্যবহার করছেন। স্থাপত্য ও কাঠামো-প্রকৌশলে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের এই মানুষটি একজন কীংবদন্তি বিশেষ। পরপর ছয় বছর তিনি আমেরিকার সেরা স্থপতির রাষ্ট্রীয় সম্মান পেয়েছেন। সর্বশেষ এই সম্মানের সাল ১৯৭১ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বছর। ফজলুর রহমান খান তাঁর কতিপয় আমেরিকান বন্ধু এবং আমেরিকায় বসবাসকারী বাঙালিদের সহায়তায় মুক্তযুদ্ধে সহায়তার জন্য ওয়েলফেয়ার আপিল ফান্ড এবং বাংলাদেশ ডিফেন্স লীগ গঠন করেন। প্রবাসে থেকে এবং একজন আমেরিকান হয়েও তিনি প্রকৃত বাঙালি ছিলেন, নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন।

তখনকার অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার থেকে সারা বিশ্বের পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত বাঙালিদের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। তিনি ওইসব বাঙালিদের চাকরি ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করেন এবং অর্থনৈতিক সহায়তার ব্যবস্থা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। ১৯৮৩ সালের ২৭ মার্চ ফজলুর রহমান খান মাত্র ৫৩ বছর বয়সে হৃদরোগের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৯ সালে ফজলুর রহমান খানকে স্বাধীনতার পদক (মরনোত্তর) প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করা হয়। ভেবে দেখো, কোনো দেশের মানুষ কোথায় গিয়ে কীভাবে খ্যাতিমান হচ্ছেন, এমনকী বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাচ্ছেন।

অনুশীলনী ৫: বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রকৌশলী ড. ফজলুর রহমান খানের আত্মপরিচয় লিখি

বইতে আমাদেরকে প্রকৌশলী ড. ফজলুর রহমান খান সম্পর্কে পড়ার পর নিচের মত ছবি দিয়ে বলা হয়েছে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রকৌশলী ড. ফজলুর রহমান খানের আত্মপরিচয় লিখতে। তো এখানে দেয়া এই কাজটির সমাধান দেয়া হল। তোমরা নিচের মত করে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রকৌশলী ড. ফজলুর রহমান খানের আত্মপরিচয় লিখতে পারবে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট:

  • জাতীয়তাবাদী: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক
  • কর্মকাণ্ড: ওয়েলফেয়ার আপিল ফান্ড ও বাংলাদেশ ডিফেন্স লীগের প্রতিষ্ঠাতা
  • ভূমিকা: প্রবাসী বাঙালিদের স্বাধীনতার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে সংগঠিত করার ভূমিকা

পারিবারিক প্রেক্ষাপট:

  • পিতা: আব্দুর রহমান খান
  • মা: আয়েশা খাতুন
  • স্ত্রী: ড. ফারহানা রহমান
  • তিন সন্তান: রাশেদা, রিফাত, রিফাত

ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট:

  • জন্ম: বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুর গ্রাম
  • শিক্ষা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়
  • কর্মজীবন: স্কিডমোর, ওভিংস & মেরিল (SOM) – শিকাগো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট:

  • গ্রামীণ পরিবারে জন্ম
  • বাঙালি জাতীয়তাবাদী পরিবার
  • উচ্চশিক্ষিত ও মেধাবী
  • উদারনৈতিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী
  • আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন
  • শিক্ষা ও গবেষণার প্রতি নিবেদিত
  • বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি গর্ববোধ

Techprithibi ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকতে এই পেজ ভিজিট করুন
– গুগল নিউজে Techprithibi সাইট ফলো করতে এই লিংকে
Techprithibi সাইটে লিখতে চাইলে যোগাযোগ করুন এই লিংকে
– প্রযুক্তির সব তথ্য জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন www.techprithibi.com সাইট।

আপনি চাইলে লেখাটি নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন

*